মনে রাখা প্রয়োজন, পুঁজিবাজার একটি খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে কোনো কিছুর একটু হেরফের হলেই বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। এই প্রভাব সামান্য জিনিস নয়। এটি কখনো কখনো সুদরবিস্তারিও হয়। এর মধ্যে দিয়ে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী টালমাটাল হতে পারেন। যদি এ ধরনের পরিস্থিতি ঘুরেফিরে আসে তাহলে বিনিয়োগকারীরা ভয়ে থাকেন। আর ভয়ের বাজার কখনো স্থিতিশীল হয় না। অস্থিরতা লেগেই থাকে। এ কারণে একটি নির্ভয়বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে পুঁজিবাজারকে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
জোর দিয়েই বলা যায়, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে অনেক ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ হচ্ছে না। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তাড়াহুড়া লক্ষ করা যায়। তারা অস্থিরতায় থাকেন। এজন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। অসময়ে শেয়ার ছেড়ে দিয়ে লোকসানে পড়েন। এই পরিস্থিতির অবসান দরকার।
বর্তমান পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। এ কারণে বাজারে কিছুটা গতি ফিরেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘ দিনের ভয় কাটানোর জন্য এবং নির্ভয় বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি করতে বিএসইসির ধারাবাহিক সক্রিয়তা প্রয়োজন।