পুঁজিবাজার এখনো বিনিয়োগকারীদের একক বিনিয়োগের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারেনি। আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। বাজার থেকে প্রচুর অর্থ বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হচ্ছেন। গণমাধ্যমের খবরের বরাতে জানা যায়, সম্প্রতি রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি আয়োজিত ‘মিডিয়া ব্রিফিং-এ বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনা ২০১৯-২০ অর্থবছর প্রারম্ভিক মূল্যায়ন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ কথা জানায়। এ সময় বলা হয়, পুঁজিবাজারে দুষ্টচক্রের আনাগোনা বেড়েছে। এর ফলে ক্রমাগতভাবে পতন হচ্ছে সূচকের।
কথা হচ্ছে, দুষ্টচক্রের আনাগোনা আমাদের দেশে নতুন নয়। এটি আগেও ছিল। এমনকি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয়ও দুষ্টচক্রের দেখা মিলে।পার্থক্য হচ্ছে ওইসব দেশে এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়ে এবং শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। আমাদের দেশে এই কাজটি করা হয় না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের মানুষ। বিশেষ করে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই ক্ষতির শিকার।এটি বছরের পর বছর চলছে, প্রতিকার হচ্ছে না। এটিই সব চেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয়।এখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে কী করতে হবে সেটি কারো বলে দেয়ার বিষয় নয়। তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে। এর ওপরই নির্ভর করে পুঁজিবাজার দুষ্টচক্রমুক্ত করার সাফল্য-ব্যর্থতা।