দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা দেখলে মনে হয়, সবাই যেন শেয়ার বিক্রি করতে চাইছে। ক্রেতা নেই। এই অবস্থা সৃষ্টি হলো কেনো? এর কারণে বাজারে লেদেন খরা চলছে। শুধু খরা নয়, লেনদেন তলানিতে ঠেকেছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মঙ্গলবারের লেনদেন ছিল এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৭৬ কোটি টাকা। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১৫ এপ্রিল এ বাজারে সর্বনিম্ন ৫৫৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, বাজারে এখন ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। এ কারণে অনেক বিনিয়োগকারী বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে গিয়েও ক্রেতাসংকটে বিক্রি করতে পারছেন না। আর ক্রেতা না থাকায় বাজারে লেনদেনেও খরা দেখা দিয়েছে।
হঠাৎ বাজারে কেনো ক্রেতাসংকট দেখা দিল? এটি এখন বড় পশ্ন।
বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে গেছে। অন্যদিকে দরপতনের কারণে কিছু শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের টাকা আটকে গেছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ নিয়মিত লেনদেনে অংশ নিতে পারছে না।
গতকাল সূচকও কমেছে ঢাকার বাজারে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ২৫ পয়েন্ট কমেছে। গত দুই দিনে সূচকটি ৭৭ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ৬৯৪ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারেরই দরপতন হয়েছে এদিন। এমনকি দরপতন হওয়া ২০টির বেশি কোম্পানির শেয়ারের কোনো ক্রেতা ছিল না।