সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দুএকটি বাজারবান্ধব পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে বাজারের চিত্রে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ারের আইনি কেটা পূরণ করার জন্য নির্দেশ। এটি পুঁজিবাজারের জন্য খুবই চমৎকার সিদ্ধান্ত। অনেক কোম্পানির পরিচালকেরই বিধিমতো দুই শতাংশ শেয়ার হাতে নেই। বাজারে দরপতনের জন্য বিশ্লেষকরা যে কারণগুলোকে দায়ী করেন, তার এটি অন্যতম। পরিচালকদের খেয়াল-খুশিমতো শেয়ার বিক্রি বাজারের দরপতনকে ত্বরান্বিত করেছেন বলে তারা মনে করেন। তাই বিএসইসির পদক্ষেপ খুবই যৌক্তিক ও সময় উপযোগী। কারণ বর্তমান পুঁজিবাজারে সুশাসনই প্রধান হাতিয়ার হতে পারে। কার এতো বেশি অনিয়ম ইতিমধ্যে হয়েছে, তাই সুশাসনের বিকল্প নেই।
সম্প্রতি সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। লেনদেনও ধীরে ধীরে বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট।
এর আগের দিন ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৩২ পয়েন্ট। মোট লেনদেন ২৩১ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৩৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকার। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ৪৫টির, অপরিবর্তিত ২০১টির দর।
সাম্প্রতিক বাজারচিত্রে কিছুটা ইতিবাচক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এটি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।