Stock Market Journal

পুঁজিবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং কি অপ্রতিরুদ্ধ?

যদি প্রতিরোধ করা না যায়, পুঁজিবাজারে নীরব ঘাতক হয়ে উঠতে পারে ইনসাইডার ট্রেডিং। কারণ অদৃশ্য রেখে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করে দিতে পারে এটি। তাই অতীতেও এ বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কতটুকু হয়েছে? এছাড়া ইনসাইডার ট্রেডিং কি অপ্রতিরুদ্ধ?

সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ‌্যমে শেয়ার ক্রয় এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামুন আজিম নামে এক ব্যক্তিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএসইসি’র জারি করা আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মামুন আজিম এবং অন্যদের দ্বারা শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে অবৈধ, বেআইনি এবং অসৎ কাজের যে অভিযোগ উঠেছে তা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

আদেশে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইনসাইডার ট্রেডিং এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে।

তদন্ত কমিটি ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ‌্যমে শেয়ার ক্রয়সহ অন্যান্য অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। এজন‌্য তদন্ত কমিটিতে বিএসইসি ও ডিএসইর কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলো। তদন্ত কর্মকর্তারা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিএসইসিতে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

কোম্পানির কোনো অপ্রকাশিত বা গোপন ইতিবাচক বা নেতিবাচক আর্থিক তথ্য, যা প্রকাশ করার আগেই তার ওপর ভিত্তি করে শেয়ার কেনাবেচা করার বিষয়টিই হচ্ছে ইনসাইডার ট্রেডিং। বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং হয়ে থাকে। ইনসাইডার ট্রেডিংয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রথমে ডিএসইর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অবহিত করার বিধান রয়েছে। সেটি না করে প্রথমে ওই তথ্য কাজে লাগিয়ে নিজেদের নামে বা বেনামে শেয়ার কেনাবেচা করা হয়। এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। কিন্তু অনেক সময় এই কাজটি হয়ে থাকে পুঁজিবাজারে। এর মূলউৎপাটন না করে অন্য কোনো বিকল্প নেই।