নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য বেসরকারি সিটি ব্যাংককে ৫০ কোটি টাকার তহবিল ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াতে রেপোর মাধ্যমে সোমবার থেকে এ অর্থছাড় শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া ব্যাংকটি নিজস্ব পোর্টফোলিওর মাধ্যমেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে।
পুঁজিবাজারে আসা রেপোর অর্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ব্রোকারেজ হাউসের মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ অর্থ পুঁজিবাজারে আসছে, এটা ভালো খবর। ফলে বাজারের তারল্য সংকট কমবে এবং বিনিয়োগ বাড়বে। বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পাবেন। তবে ১৫টির মতো ব্যাংক রেপোর অর্থ নেয়ার সক্ষমতা থাকলেও মাত্র একটি ব্যাংক এ অর্থ নিয়েছে। এটা খুবই সামান্য। সবগুলো ব্যাংক এ অর্থ নিয়ে বিনিয়োগ করলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
আহমেদ রশিদ লালী আরও বলেন গত ১০-১২ বছরে মুদ্রাবাজারে কোনো সংস্কার হয়নি। কোনো সমস্যা হলেই সার্কুলার জারি করছে। বছরের পর বছর সার্কুলার দিয়ে চলেছে। এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। তাই মুদ্রাবাজার সংস্কার জরুরি। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর প্রতি আমানতকারীদের আস্থা ফেরাতে হবে। কারণ আমানত না বাড়াতে পারলে ব্যাংকের তারল্য সংকট দূর হবে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে তহবিলের অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য রেপোর আওতায় তহবিল চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে বেসরকারি সিটি ব্যাংক। যাচাই-বাছাই করে ৫০ কোটি টাকার তহবিল অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ১৪ অক্টোবর (সোমবার) সন্ধ্যায় তহবিল অর্থ ছাড় করা হয়। আজ ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকেই তহবিলের অর্থ নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে ব্যাংকটি ।
জানা গেছে, ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানত নিলে সাড়ে ৮১ টাকা বিনিয়োগ করতে পারে। বাকি সাড়ে ১৮ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সংরক্ষণ করতে হয়। মূলত আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থেই এমন বিধান রয়েছে ব্যাংকিং খাতে। সাড়ে ১৮ টাকার মধ্যে সাড়ে ৫ টাকা নগদে সংরক্ষণ করতে হয়। যাকে ব্যাংকিং ভাষায় সিআরআর বা নগদ জমার হার বলে। বাকি ১৩ টাকা সম্পদ দিয়ে সংরক্ষণ করতে হয়। আর এটাকে ব্যাংকিং ভাষায় এসএলআর বলে। এ সম্পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ট্রেজারি বিল ও বন্ড।
এসএমজে/২৪