Stock Market Journal

পুঁজিবাজারে আর কত রক্তক্ষরণ হবে

দেশের পুঁজিবাজারে প্রতিদিনই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে। ফলে কমছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে ভারী হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা। প্রতিনিয়ত সর্বস্ব হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই প্রশ্ন হচ্ছে আর কত রক্ষরণ হবে পুঁজিবাজারে?

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২১ এপ্রিল) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমার মাধ্যমে ঈদের পর লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

এমন অব্যাহত দরপতন হওয়ায় বড় ধনের লোকসানের মধ্যে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ লোকসান থেকে বের হয়ে আসার কোনো উপায় যেন তারা পাচ্ছেন না। শুধু ঈদের পরে নয়, ঈদের আগেও শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়। এমন পতনের কারণে কোনো কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা ৪০ শতাংশের ওপরে লোকসানে রয়েছেন।

ঈদের আগে প্রায় দুই মাস ধরে শেয়ারবাজার পতনের মধ্যে ছিল। সেই পতনের মধ্যে পড়ে ২০-৩০ শতাংশ লোকসানে শেয়ার বিক্রি করেছেন অনেকে। তবে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে চার কার্যদিবস বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকে।

ঈদের পর শেয়ারবাজারে দরপতনের পেছনে ইরান এবং ইসরায়েল ইস্যু ভূমিকা রেখেছে, এমন ধারণা অনেকের। ইরান-ইসরায়েল ইস্যুর কারণে অন্যান্য দেশও হয়তো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটিতো শুধু আমাদের একার বিষয় নয়। এটি আন্তর্জাতিক বিষয়।