যখনই পুঁজিবাজারে কোনো সংকট তৈরি হয় তখনই হইচই শুরু হয়। এরপর নানামুখি আলোচনা। এসব আলোচনায় খুব একটা কাজ বলে মনে হয় না। কারণ সদিচ্ছা না থাকলে আলোচনা সফল হয় না। আগে দরকার পরিবর্তনের মানসিকতা এবং পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা। উন্নতবিশ্বে পুঁজিবাজারে এ দুটি বিষয়ে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তেমনটা দেখা যায় না। ফলে পুঁজিবাজারের অস্থিরতার মূলে হাত দেওয়া হয় না। সবই হয় ভাসা-ভাসা।
কয়েকমাস আগে পুঁজিবাজারে কিছুটা উন্নতির আভাস শুরু হয়। কিন্তু এখন বাজার চিত্র দেখে মনে হয় সেটি মিলিয়ে যেতে বসেছে। অর্থাৎ ‘যেই লাউ সেই কদু’ অবস্থা দেখা যাচ্ছে। মোট কথা, পুঁজিবাজারের অস্থিরতা দূর হয়নি। তাহলে এ সবই কি লোক দেখানো বিষয়, নাকি অন্যকিছু? দেশে কী এমন ঘটনা ঘটলো যার কারণে পুঁজিবাজারের লেনদেন আড়াই হাজার কোটি থেকে পাঁচশ কোটি টাকায় নেমে এলো? এর কী ব্যাখ্যা আছে আমাদের জানা নেই। তবে আমাদের জানা আছে- গুণগত পরিবর্তন ছাড়া বাজারের উন্নতি ও স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। এ কারণেই অস্থিরতার মূল কারণগুলো অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।