দেশের পুঁজিবাজারের অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতে টানা অস্বাভাবিক দরপতন ঠেকানোর জন্য ফ্লোরপ্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন দর সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়। এরপর বাজার কিছুটা ইতিবাচক ধারায় চলতে শুরু করে। বর্তমানে বাজারের অবস্থা আশাব্যঞ্জক নয়। এই অবস্থায় সম্প্রতি ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর সীমা বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই ঘটনার পরদিনই অস্বাভাবিক দরপতন হয় পুঁজিবাজারে। যা খুবই হতাশাজনক।
বাজারের অস্বাভাবিক পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সব কোম্পানির শেয়ারের ওপর সর্বনিম্ন মূল্যস্তর আরোপ করা হয়, যাতে ওই শেয়ার সেই দামের নিচে নামতে না পারে। এ মূল্যস্তর বেঁধে দিয়েই মূলত গত বছরের সূচকের অস্বাভাবিক ও একটানা পতন থামানো হয়েছিল। মূল্যস্তর আরোপের আগে ১৮ মার্চ প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকটি নেমে এসেছিল ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে। সেখান থেকে পরে তা বাড়তে থাকে। বর্তমান বাস্তবতায় ফ্লোরপ্রাসইস তুলে নেওয়ার বিষয়টি সঠিক সঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি বলে অনেক বাজার বিশ্লেষকের মতো আমাদেরও ধারণা। বাজারের একটা স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছানোর পরই বিষয়টির বাস্তবায়ন হলে বাস্তবসম্মত হতো।