সাধারণ আর দশটা বিষয়ের মতো পুঁজিবাজারকে চিন্তা করলে চলবে না। এখানে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে মুহূর্তের মধ্যে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়। এখানে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থ জড়িত। যেকোনো ধরনরে ত্রুটির কারণে ঘটে যেতে পারে বড় অঘটন। যার দায় কেবল একটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর পড়বে না। লাখ লাখ বিনিয়োগকারী, শতশত কোম্পনিসহ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই যেভাবে আর দশটা কাজ ঢিলেঢালাভাবে করলেও কোনোরকম চলে যায়, পুঁজিবাজার সেভাবে চলতে পারে না। এটি খুবই স্পর্শকাত জায়গা। তাই এখানে যেনতেনভাবে কাজ করার সুযোগ নেই। পুঁজিবাজার ব্যবস্থাপনা থেকে সব ধরনের দুর্বলতা দূর করতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে সুশাসন। যে কেউ চাইলেই এখান থেকে পুঁজির জোগান পেতে পারে। তবে সেটি হতে হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে। আমরা দেখি অনেক সময় এই স্বচ্ছতার বিষয়টি থাকে না। আইপিও এবং রাইট শেয়ারের মাধ্যমে ভুল তথ্য কিংবা অনিয়ম করে টাকা নেওয়া হয় পুঁজিবাজার থেকে। এই ধরনের কাজ হতে দেওয়া যায় না। এটি পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এখন দরকার বাস্তবতা বুঝে পদক্ষেপ নেওয়া।