করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা প্রয়োজন। সরকার হয়তো সেটি করবে। কিছু বিষয় ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। সামগিক অর্থনৈতিক মন্দা থেকে দেশকে বের করা আনতে হলে কিছুটা সময় দরকার। কিন্তু দেশের পুঁজিবাজারের সংকট দূর করার জন্য আলদা করে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। শুধু করোনা দুর্যোগই দেশের পুঁজিবাজারের একমাত্র সংকট নয়। এই সংকট অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। সেভাবে বিবেচনা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি।
টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হলেও চলছে লেনদেন খরা। গত বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের রেকর্ড হয়েছে। সেই সঙ্গে পতন হয়েছে সবকটি মূল্য সূচকের।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিলের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এত কম লেনদেন হয়নি। ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল লেনদেন হয় ৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
আমরা মনে করি লেনদেন খরা ও দরপতন কাটানোর জন্য পুঁজিবাজারকে সংশ্লষ্টদের বিশষ মনোযোগের আওতায় আনা দরকার। এটি যত তাড়াতাড়ি করা যায়, ততটাই মঙ্গল।