‘যার হয় না নয়ে তার হয় না নব্বইয়ে’ এই প্রবাদেই কি আটকা পড়ে গেল বাংলাদেশের পুঁজিবাজার? ক্রান্তিকাল বলতে একটি অবস্থা থেকে আরেকটি অবস্থায় যাওয়ার সন্ধিক্ষণ বোঝায়। কিন্তু পুঁজিবাজারের এই যাত্রার কি শেষ নেই? কেবল পতনের দিকেই যেতে থাকবে? নাকি এটি যেতে যেতে কোমায় চলে যাবে? এমন অসংখ্য প্রশ্ন করা যায়। কিন্তু উত্তর মিলবে কোথায়?
আমরা জানি, শরীরের কোনো অঙ্গে যদি অসুখ হয়, সেটি সারানো না গেলে তখন প্রয়োজনে অঙ্গটি কেটে ফেলতে হয়। কারণ মানুষটা বাঁচানোই হচ্ছে সব চেয়ে বড় কর্তব্য। দেশের পুঁজিবাজারে কী এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যা নিরাময়যোগ্য নয়? তাহলে তো দেখা দরকার পচনটা কোন জায়গায় হয়েছে। সেই জায়গাটি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘ দিন ধরে বলে আসছেন- বাজারের বর্তমান অবস্থা বদলাতে হলে কিছু বিষয় ঠিক করা দরকার। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে রাইট শেয়ার। আগামী দশ বছরের মধ্যে কোম্পানিগুলোর রাইট শেয়ার অনুমোদন বন্ধ করা। দ্বিতীয়ত আইপিও এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অনুমোদ ৩-৪ বছর বন্ধ রাখা। তৃতীয়ত পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
দেখা যাচ্ছে এসব দাবির বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই বলছে না বাংলাদেশ সিকিউটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে বাজারের অবস্থা ‘যেই লাউ সেই কদু’ই থেকে যাচ্ছে। এখন বাস্তবতা বুঝে ব্যবস্থা নিতে না পারলে পুঁজিবাজারের ক্রান্তিকালও শেষ হবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়া জরুরি।