পুঁজিবাজার যদি দিনের পর দিন অস্বাভাবিক আচরণ করে তাহলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সন্দেহ বাড়ে। তারা তখন বিচলিত হয়ে পড়েন। এই কারণে প্রথমেই পুঁজিবাজারের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এই কাজটি কেবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার একার কাজ নয়। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার আন্তরিকতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেখতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না। না হলে বাজার স্বাভাবিক করা যাবে না। বাজার স্বাভাবিক না হলে যত উদ্যোগই নেওয়া হোক কাজের কাজ কিছুই হবে না।
অতীতে দেখা গেছে, নানাভাবে পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক আচরণ হয়ে থাকে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়েন। কখন শেয়ার ছেড়ে দেবেন আর কখন ধরে রাখবেন এই নিয়ে তাদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগায় কারসাজি চক্র। তারা বিনিয়োকারীদের দুর্বলতা বুঝতে পেরে সুনির্দ্দিষ্ট শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে। এ সময় কোনো কারণ ছাড়াই শেয়ার দর বাড়তে বা কমতে থাকে। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। তারা আতঙ্কিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সর্বস্বান্ত হন। ফলে পুঁজিবাজার থেকে অস্বাভাবিকতা দূর করাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাাঁড়ায়।