কখনো কখনো পুঁজিবাজারে দুর্দিন আসে। এটি স্বাভাবিকভাবে দেখতে হবে। যদি কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বা কারচুপি না থাকে, তা হলে দরপতন পুঁজিবাজারের খুব বেশি ক্ষতি করতে পারে না। সার্বিক অর্থনীতি এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিস্থিতির কারণে শেয়ার দর বাড়তে-কমতে পারে। যদি স্বাভাবিক দরপতন হয়, সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের চেষ্টা করতে হবে পুঁজিবাজারে টিকে থাকার। পালিয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়। আতঙ্কিত হয়ে লোকসানে শেয়ার না বেচে ধৈর্যধারণ করা উচিত। এ সময় বুঝে-শুনে শেয়ার কেনা বেচা করলেও ক্ষতি কমবে। কিন্তু হুজুগে পড়ে সব শেয়ার ছেড়ে দেওয়া আবার পরে দাম বাড়তে থাকলে শেয়ার কেনা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। বাজারে আঁকড়ে থাকলে আখেরে লাভ হওয়ার সুযোগ থাকে। লোকসানে বিক্রি করে দিয়ে বের হয়ে গেলে লোকসানই হয়।
বর্তমানে দেশে ও বিশ্বে অর্থনীতিতে কিছুটা অস্থিরতা রয়েছে। এই অস্থিরতার কারণে পুঁজিবাজারে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। এটিকে বড় আতঙ্ক হিসেবে দেখা উচিত নয়। এছাড়া সরকার ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেষ্টা করে যাচ্ছে বাজারে ভালো কিছু করার জন্য। এ ক্ষেত্রে ধৈর্যসহ লেনদেন করাই উত্তম।