ইতিহাসের বিবর্ণতম ঈদটি উদযাপন করলো দেশবাসী। মাসব্যাপী রোজার শেষে যে আনন্দ, তার লেশমাত্র ছিল না এবার ঈদে। তবুও যারা ঈদ করতে পেরেছেন, তাদের মধ্যেও ছিল ভয়, শংঙ্কা। এর মধ্যোই গতকাল সারা দেশে ঈদ উদযাপিত হয়েছে অনকটাই ম্লানভাবে। জীবিকা বা অন্যান্য কারণে গ্রাম ছেড়ে শহরে থাকেন বহু মানুষ। ঈদ এলে তারা গ্রামে ছুটে চলেন নাড়ির টানে। এবার করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। মানুষ হয়ে পড়ে কার্যত ঘরবন্দি। মাসের পর মাস চলতে থাকে সাধারণ ছুটি। বন্ধ হয়ে যায়, কারখানা দোকানপাট। স্বল্প আয়ের মানুষ পড়ে মহা বিপাকে।
লম্বা ছুটি ও লকডাউনের কারণে ঘরবন্দি মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে। তাই কোথাও বেড়ানোর জন্য এবার ঈদে মানুষ অস্থির হয়ে আছে। সাধারণত ঈদের ছুটিতে মুখর থাকে দেশের পর্যটন স্পটগুলো। মানুষ ছুটে চলে এসব স্থানে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় জমানোটা মহা বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই এসব স্থানে ভিড় এড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবেই হোক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সঠিকভাবে নজরদারি করতে হবে। যাতে ভিড় এড়ানো যায়। এতে হয়তো দেশবাসীর কিছুটা মনোবেদনা বাড়বে কিন্তু কিছু করার নেই। বৃহত্তর স্বার্থে এ বিষয়ে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। বেঁচে থাকলে অনেক বেড়ানো যাবে। এখন দেশবাসীর জীবন বাঁচানোই বড় কর্তব্য।