পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের পর কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের দায়বোধ থাকা দরকার। কারণ বৈধ উপায়ে উপার্জন করার মানসিকতা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। তাদের চাওয়ায় কোনো খাদ নেই। তারপরও কিছুটা লোকসানের ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বিনিয়োগকারীদের রাখতে হয়। কিন্তু দেখা যায়, অনেক কোম্পানির পরিচালকদের অনিয়মজনিত ব্যর্থতার দায় তাদের বহন করতে হয়। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ক্ষেত্রে পরিচালকদের ব্যর্থতার দায় বিনিয়োগকারীরা কেনো নেবেন?
অনেক সময় দেখা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোনো কোম্পানির পরিচালক সঠিক উপায়ে কোম্পানি পরিচালনা না করে নানারকম অনিয়ম করছেন। এই অনিয়ম বাড়তে বাড়তে পাহাড়সমান হচ্ছে। ডিভিডেন্ড না দেওয়া, নিয়মিত এজিএম না করার বিষয়টিও দেখা যায় ওইসব কোম্পানির ক্ষেত্রে। পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অনেক কোম্পানি বছরের পর বছর পড়ে থাকছে। এভাবে পুঁজিবাজার চলতে পারে না। এর জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)। কী কারণে ওইসব কোম্পানির অবস্থা শোচনীয় হয় এটি ভালো করে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পরিচালকদের অনিয়মজনিত ব্যর্থতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।