শেয়ারবাজার কারসাজিকারীরা স্মার্ট ও সৃষ্টিশীল। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো নয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোতে দক্ষ ও সাহসী লোক বসাতে হবে। বাজার অংশীজনের নিজস্ব স্বচ্ছ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমানে এ খাতের উন্নয়নে বড় ধরনের ‘চিকিৎসা’ দরকার। পুঁজিবাজার উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার ৫ দফা নির্দেশনার বাস্তবায়নেও স্থবিরতা দেখা যায়। এ দেশে সিদ্ধান্ত হয়, বাস্তবায়ন হয় না।
রাজনৈতিক অর্থনীতি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ব্যাংকমুখী করে রেখেছে। বাংলাদেশে যারা রাজনৈতিক অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণে আছেন, তারাই ব্যাংকের মালিক। ফলে পুরো অর্থনীতি ব্যাংকমুখী হয়ে পড়েছে। ফলে পুঁজিবাজারকেই মূলধন সঞ্চালনের বড় মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
এসব বিষয় করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো দক্ষ ও সৎ লোক বসাতে হবে। দলাকানা কিংবা স্বজনপ্রীতির লোক দিয়ে এটি সম্ভব হবে না। কারণ আগেও এ ধরনের লোকদেখানো কাজ করা হয়েছে। এতে পুঁজিবাজারের কোনো উন্নতি হয়নি। ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পকেট ভারী হয়েছে। তারা নানা কৌশলে পুঁজিবাজার থেকে সুবিধা নিয়েছেন। এখন সময় এসেছে এ ধরনের কাজ যারা করেছেন, তাদের আইনের আওতায় আনার।