Stock Market Journal

নামমাত্র জরিমানার মধ্য দিয়ে কারসাজি চক্র উৎসাহিত হয়

দেশের পুঁজিবাজারে বিরাজ করছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থেকে চরম আতঙ্ক ও অস্থিরতায় ভুগছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। লোকসানে শেয়ার বিক্রির জন্যও কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন তারা। কারসাজির শেয়ারগুলোর দর এখনও অনেক উঁচুতে অবস্থান করছে।

গত সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছে ২৯৫টি কোম্পানি। এরমধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে মাত্র ১২টির। দর কমেছে ৭৩টি কোম্পানির শেয়ারের। আর দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৯টি কোম্পানির শেয়ার। দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৫টির শেয়ার নিয়েই কারসাজি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। এরমধ্যে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে জরিমানাও করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়া পাঁচ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে সোনালী পেপার, পেপার প্রসেস এবং মুন্নু এগ্রো, সোনালী আঁশ এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। শেয়ারবাজারের এত পতন হলেও এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে তেমন কোন প্রভাব পড়ছে না। বরং কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়েই চলেছে।

কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে বিএসইসি যে জরিমানা করেছে। তা কেবল কারসাজি চক্রকে দোষমুক্ত করার লক্ষ্যেই করা হয়েছে বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ এই সকল কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করে এই চক্র ৩০-৫০ কোটি টাকা আয় করলেও বিএসইসির যে জরিমানা তা মুনাফার ৫ শতাংশেরও কম। যা কারসাজিকারীর সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। তাই নামমাত্র জরিমানার মধ্য দিয়ে কারসাজি চক্র উৎসাহিত হয়।