সর্বোচ্চ ঋণসীমার পরিধি বাড়িয়ে পুঁজিবাজারে নতুন করে বার্তা দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির নতুন আদেশে বলা হয়েছে, প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ হাজার পয়েন্টে না যাওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে ১০০ টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০ টাকার ঋণসুবিধা বহাল থাকবে। সম্প্রতি এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখা প্রয়োজন। বিশেষ করে এমন এক সময়ে বিএসইসি সর্বোচ্চ ঋণসুবিধার পরিধি বাড়িয়েছে, যখন বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সব তথ্য দৈনিক ভিত্তিতে জমা দিতে বলেছে।
এত দিন বিএসইসির নির্দেশনা ছিল, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার অতিক্রম করলেই শেয়ার কেনার বিপরীতে সুদ কমে ১০০ টাকার বিপরীতে ৫০ টাকা (১ অনুপাতে ০.৫) হয়ে যাবে। আর সূচকের ৭ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত ঋণ মিলবে ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা (১ অনুপাতে ০.৮)। ঋণের সর্বোচ্চ এ সীমা এখন বহাল রয়েছে শেয়ারবাজারে। কিন্তু ডিএসইএক্স সূচকটি এখন ৬ হাজার ৭০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে একদিকে ঋণ সমন্বয়ে জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলের চাপ থাকবে না, অন্যদিকে সূচকের এ অবস্থায়ও নতুন করে সর্বোচ্চ হারে ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। আবার যারা এরই মধ্যে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন, সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলে তাদেরও ঋণ গ্রহণের সক্ষমতা বাড়বে। সব কিছু বিবেচনা করে বলা যায় বিএসইসির পদক্ষেপ বাজারবান্ধব। এতে বাজারের গতিশীলতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।