মহাকালে যুক্ত হলো আরও একটি পালক। এলো নতুন বছর। বিদায় ২০২১, স্বাগতম ২০২২। সকল পাঠক ও পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ঘুচে যাক জীর্ণতা-দীনতা। সকলের জীবনে আসুক আলো, আসুক আনন্দ। পুরনো দিনের সব ব্যর্থতা কেটে গিয়ে নতুন সূর্যের উদয় হোক প্রতিটি জীবনে।
বিদায়ী বছরে অতিমারি করোনাভাইরাসের মতো দেশের পুঁজিবাজারও ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অর্থনীতির প্রায় সব খাত করোনার ছোবলে বিপর্যস্ত হলেও অনেকটা সময়জুড়ে পুঁজিবাজারে ছিল চাঙ্গাভাব। বছরের মাঝামাঝি বাজারে সূচক বেড়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। একই সঙ্গে বাজার মূলধন এবং লেনদেন বেড়েও নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আগামীতে নতুন রেকর্ড গড়ার পূর্ব পর্যন্ত ২০২১ সাল পুঁজিবাজারে ইতিহাস হয়ে থাকবে। সম্ভাবনাময় এখাতে ভবিষ্যতে আরও নতুন রেকর্ড গড়বে এমটিই আশা করছি।
২০২০ সালে দেশে করোনা মহামারির যখন শুরু হয়, তখন পুঁজিবাজারও নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুনর্গঠন করেন। অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসি পুর্নগঠন করা হয়। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাজারের জন্য ইতিবাচক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকে। এরপর করোনাভাইরাসকে জয় করে দেশের পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ায়। বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে থাকে। যেসব বিনিয়োগকারী আস্থা হারিয়ে চলে গিয়েছিল, তারাও বাজারে ফিরতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বাজারে বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করে। যা এক বছর পর ২০২১ সালে লেনদেনে, সূচক, বাজার মূলধনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাতে সব কিছুতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। যদিও সেটা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে গত এক বছরে বাজারে সূচক বেড়েছে সাড়ে ১৩০০ পয়েন্ট এবং বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ৯৪ হাজার কোটি টাকা। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বাজারে আরও নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। এখন নতুন বছরের কাছে এমন প্রত্যাশাই কাম্য। একই সঙ্গে সবাইকে জানাই অভিনন্দও শুভ কামনা।