দেশের পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটছে না। গত বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ৪৭৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অধিকাংশই দুর্বল। এমারেল্ড অয়েল, সোনালী আঁশ, দেশবন্ধু পলিমার, সী পার্ল বীচ, জেমিনী সী ফুড, ফু-ওয়াং ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং কোহিনূর কেমিক্যাল অন্যতম। তবে এদিন ডিএসইতে মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে।
ডিএসইতে বুধবার ৩১৮টি কোম্পানির ৭ কোটি ৪৯ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ৪৭৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ৭১টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৬৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর ব্রড সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৮২ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ২ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট উন্নীত হয়েছে।
ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসইর বাজারমূলধন আগের দিনের চেয়ে বেড়ে ৭ লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
শীর্ষ দশ কোম্পানি : বুধবার ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে, সেগুলো হলো- স্কয়ার ফার্মা, এমারেল্ড অয়েল, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ, দেশবন্ধু পলিমার, সী পার্ল বীচ, জেমিনী সী ফুড, ফু-ওয়াং ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন, কোহিনূর কেমিক্যাল এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।
ডিএসইতে বুধবার যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে, সেগুলো হলো- ক্যাপিটেক গ্রামীন ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড, আরামিট লিমিটেড, কে অ্যান্ড কিউ, এমারেল্ড অয়েল, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, মনোস্পুল পেপার, প্রাইম ব্যাংক, লিব্রা ইনফিউশন, অ্যাম্বী ফার্মা এবং সেনা কল্যান ইন্স্যুরেন্স।
অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে, সেগুলো হলো- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, দেশবন্ধু পলিমার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, কোহিনূর কেমিক্যাল, নর্দার্ন ইসলামি ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, আলহাজ্ব টেক্সটাইল এবং ন্যাশনাল টি।