দেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতন চলছে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে গতকাল রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন তিন’শ কোটির ঘরে নেমে এসেছে। এমন লেনদেন খরার বাজারে প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে বড় পতন হয় মূল্যসূচকের।
কাছাকাছি সময়ে লেনদেন এভাবে ৪০০ কোটির নিচে চলে গিয়েছিলো গত বছরের ৫ এপ্রিলে। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল করোনার লকডাউন ঘোষণার পর আতঙ্কে লেনদেন এর চেয়ে নিচে নেমেছিল এক দিন। সেদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। তবে লকডাউনে লেনদেন বন্ধ হচ্ছে না, এমন ঘোষণা দেয়ার পর দিন থেকেই বাজার ঘুরে দাঁড়ায়।
সেদিনের পর গতকাল লেনদেন হয়েছে ৩৯৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে পুঁজিবাজারে যে ধস দেখা দিয়েছে, তারই ধারাবাহিকতা চলছে।
লেনদেনে কোনো দৃশ্যমান অগগ্রতি না হওয়ায় বাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। অনেক ভালো মৌভিত্তির শেয়ারও পতনের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। পুঁজিবাজারের জন্য এটি খুবই হতাশার।