Stock Market Journal

ডিএসইর ৭ ব্রোকারেজ হাউজের মূলধন সংক্রান্ত তথ্য চায় বিএসইসি

এসএমজে ডেস্ক

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সাতটি ব্রোকারেজ হাউজের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত ও রেগুলেটরি ক্যাপিটাল বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তদন্তের জন্য এ ব্রোকারেজ হাউজগুলোর তথ্য চেয়েছে। ডিএসইকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত ৯ মে বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. মতিউর রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের কোয়ার্টারলি প্রতিবেদন যাচাইয়ে সাতটি ব্রোকারেজ হাউজের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত ও রেগুলেটরি ক্যাপিটাল বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

এতে করে ব্রোকারেজ হাউজগুলো মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত ও রেগুলেটরি ক্যাপিটালের নির্দেশনা পরিপালন করছে কি না, তাও জানা যায়নি। এ অবস্থায় ডিএসইকে চিঠি ইস্যুর তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো হচ্ছে- এশিয়া সিকিউরিটিজ, হাবিবুর রহমান সিকিউরিটিজ, আরএকে ক্যাপিটাল, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজ, মীর সিকিউরিটিজ, আমার সিকিউরিটিজ ও সিএএল সিকিউরিটিজ।

এ ব্রোকারেজ হাউজগুলোর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের কোয়ার্টারলি হিসাবে ক্যাপিটাল ঘাটতি ছিল। এর মধ্যে ১২০ কোটি টাকার সর্বনিম্ন ক্যাপিটাল রাখার বাধ্যবাধকতা থাকা আরএকে ক্যাপিটালের ঘাটতি ছিল ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

এছাড়া এশিয়া সিকিউরিটিজের আট কোটি আট লাখ টাকা, হাবিবুর রহমান সিকিউরিটিজের ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজের ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, মীর সিকিউরিটিজের চার কোটি ১৯ লাখ টাকা, আমার সিকিউরিটিজের ৬৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা ও সিএএল সিকিউরিটিজের ১৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ক্যাপিটাল ঘাটতি ছিল।