যিনি অঢেল টাকার মালিক, অনিয়মের জন্য তাকে টাকা জরিমানা করাটা নস্যি মাত্র। দিনের পর দিন এমন ঘটনাই ঘটে চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। কোটি কোটি টাকা অনিয়ম করে সামান্য জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন অনেক অনিয়মকারী। ফলে অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না। ওইসব বিত্তবানদের কাছে কয়েক লাখ টাকা জরিমানার অর্থ হচ্ছে, সামান্য টাকা পরিশোধ করে অনিয়মে অর্জিত মোটা অংকের টাকা বৈধ করে নেয়া। ফলে এখানেও তাদের মুনাফা। আর এই অনিয়মও তাদের কাছে একটি ‘ব্যবসা’।
সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলহাজ্ব টেক্সটাইলের পরিচালক সামসুল হুদাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রি এবং বিক্রিতে সহযোগিতা করে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে তাকে ওই জরিমিানা করা হয় বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
বিত্তশালীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের জরিমানা কোনো শাস্তি নয়। সুতরাং শুধু জরিমানাই নয় তাদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আইনি সীমাবদ্ধতা থাকলে সেটিও দূর করা দরকার। এসব অনিয়মের জন্য উন্নতবিশ্বে আগে জেল এবং পরে জরিমানা হয়। জরিমানায় ব্যর্থ হলে ফের শাস্তি হয়।
আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে অনিয়ম বন্ধ করতে হলে সংশ্লিষ্টদের এসব বিষয়ে ভাবনা থাকা প্রয়োজন।