পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুশাসন আনার লক্ষ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তর বন্ধসহ নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১৩ আগস্ট বিএসইসির ৭৩৫তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হয় বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
দুর্বল মৌলভিত্তি ও ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির শেয়ার হিসেবে ‘জেড’ ক্যাটাগরিকে বিবেচনা করা হয়। অনেক সময় মন্দা বাজারে দুর্বল মৌলভিত্তি ও ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে থাকে। এ কারণে একশ্রেণির বিনিয়োগকারী কোনো প্রকার যাচাই বাচাই না করেই স্বল্পমূলধনী ও দুর্বল কোম্পানির বিনিয়োগ করেন। এতে খুব দ্রুতই ওইসব বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন। এভাবে বাজারের ভিত্তিও দুর্বল হয়। পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করে এসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দিয়ে গড়িয়ে গিয়ে পড়ছে জেড ক্যাটাগরিতে। এরপর বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মধ্যে থাকতে হয়। কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। এমন বাস্তবতায় বিএসইসের পদক্ষেপ কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। অন্যদিকে ওইসব কোম্পানির পরিচালকদের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরি হবে বলে আমাদের ধারণা।