Stock Market Journal

জরিমানার পুরনো সংস্কৃতি ছেড়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

কোনো বিষয়ে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে কাজ না হলে, অস্ত্রটি পরিবর্তন করতে হয়। এক্ষেত্রে এটি যত দ্রুত করা সম্ভব ততই মঙ্গল। দেরি করলে ক্ষতি বাড়তেই থাকবে। দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে এমন ধরনের ঘটনা অহরহ। পুরনো অনেক নিয়ম-কানুন খুব একটা কার্যক না হলেও আমরা দেখতে পাই ওইসব নিয়ম দিয়ে চলে পুঁজিবাজারের অনিয়ম দমন। এতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। পুঁজিবাজারে যেসব অনিয়ম বা কারসাজির জন্য শাস্তি হয়, সেগুলো ভোঁতার অস্ত্র প্রয়োগের মতোই। দেখা যায় অনিয়মের জন্য জরিমানা হচ্ছে। এই জরিমানা খুব একটা কাজ হয় বলে মনে হয় না। কিছু টাকা জরিমানা দিয়ে অপরাধী পার পেয়ে যান। ফলে অনিয়ম বন্ধ হয় না। আমরা বছরের পর বছর লিখে আসছি। জরিমানার বদলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হোক। প্রয়োজনে আইন না থাকলে নতুন করে আইন করা হোক। কিন্তু বিষয়টি কানে তুলছেন না সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি শেয়ারবাজারে সাবেক শিবলী কমিশনের সময়কালে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসা কারসাজিকারক আবুল খায়ের হিরু, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার কারসাজির দায়ে ১৩৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় এই জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়। আমরা বলতে চাই এ ধরনের জরিমানা দেওয়ার সক্ষমতা অনিয়মকারীদের রয়েছে। এটি দিয়ে তারা সহজেই পার পেয়ে যান। তাই আবারও বলবো সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে ভাববেন।