বিশ্বজুড়ে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। ফলে সময়টা একটু চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এই কারণে পুঁজিবাজারে যাতে কোনো ধরনের দুষ্টচক্র সংকট তৈরি করতে না পারে সেই চেষ্টা থাকতে হবে। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। কারণ সুযোগ সন্ধানীরা ওৎ পেতে থাকে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য। এটি যাতে না হয় সেই খেয়াল রাখতে হবে।
দেশের পুঁজিবাজার অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতির স্বার্থেই পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা থাকতে হবে সব পক্ষের কাজে। বিশেষ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে প্রতারিত না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থনীতির ভালো-মন্দ থাকতেই পারে। সব কিছু নিয়েই পুঁজিবাজার চলবে। তবে ব্যবস্থাপনার মধ্যে কোনো ধরনের অনিয়ম যাতে না হয়, সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এটি হলে আজ হোক কাল হোক পুঁজিবাজার একটি উন্নত অবস্থায় যেতে পারবে। এটি কেবল বিনিয়োগকারী নয়, অর্থনীতি ও শিল্পায়নের জন্যও খুব জরুরি বিষয়। তাই যেভাবেই হোক পুঁজিবাজারকে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে হবে।