Stock Market Journal

গুজবের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না কেনো?

পুঁজিবাজারে গত বৃহস্পতিবারও দরপতন ঘটেছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৩২ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ১৪৯ পয়েন্টে। আর লেনদেন কমে নেমে এসেছে ৬০০ কোটি টাকার নিচে।

এদিন লেনদেন শুরুর পর বাজারে গুজব ছড়িয়ে পড়ে দরপতন ঠেকাতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেওয়া শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হচ্ছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাজারের পতন আরও ত্বরান্বিত হয়। পরে দুপুরে বিএসইসির পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বিভিন্ন ফোরামে কমিশনের ফ্লোর প্রাইস নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশন গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকবে।

টানা পতন ঠেকাতে গত ৩১ জুলাই শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয় বিএসইসি। ফলে বেঁধে দেওয়া ওই দামের নিচে নামতে পারবে না আর সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর থেকে সূচক কিছুটা গতি ফিরে পায়। কিন্তু গত শুক্রবার ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়ানোর পর থেকে দরপতন শুরু হয় বাজারে। সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই বাজারে সূচক কমেছে। এই অবস্থায় গুজব ছড়ানোর বিষয়টি খুবই গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে বার বার প্রশ্ন উঠে পুঁজিবাজারে গুজবের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না কেনো?