আমাদের পুঁজিবাজারে ৮০ ভাগই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। এ কারণে তাদের স্বার্থরক্ষায় মনোযোগ না বাড়িয়ে বাজারের উন্নতির চিন্তা করা কখনোই যুক্তিসঙ্গত নয়। আর যুক্তি কথা যদি বলি তাহলে বলতে হবে, আমাদের দেশে অযৌক্তিক অনেক ঘটনাই ঘটে। পুঁজিবাজারও তার বাইরে নয়। অতীতে দেখা গেছে, ক্ষুদি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় অনেক ক্ষেত্রে যৌক্তিক কাজটুকু করা সম্ভব হয়নি। কেনো সম্ভব হয়নি এটি ভালো বলতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা। সাদা চোখে যেটুকু দেখা যায়, আমরা সেটিই বলতে পারি।
পুঁজিবাজার উন্নয়নের প্রথম শর্ত হচ্ছে অনিয়ম দূর করা ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত করা। এই কাজটি খুব ভালোভাবে করা গেলে অনেক কিছুর ইতিবাচক ফল দেখা যেতো। পুঁচজবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবে এটুকুই যথেষ্ট নয়। দরকার আর বড় ধরনের পরিবর্তন। যুগন্তকারী পদক্ষে প্রয়োজন। যা অতীতের কমিশনগুলো পারেনি। বিশেষ করে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এখন যেটুকু ব্যবস্থা নেওয় হচ্ছে, এটি অনিয়মের তুলনায় নস্যি। যে কারণে অনিয়মকারীরা বারবার বৃদ্ধিঙ্গুুলি প্রদর্শন করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এভাবে আর কতটা পথ চলবে পুঁজিবাজার।