গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরপতন হয়েছে। কিছুতেই যেনো থামছে না পতন। এতে বিনিয়োগকারীদের হতাশা দীর্ঘ হচ্ছে।
গতকাল বিক্রির চাপের মধ্যদিয়ে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক সামান্য বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। তবে উভয় শেয়ার বাজরে লেনদেন বেড়েছে।
ব্যাংক–বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির চাপের দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। যা গত এক মাস ১১ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৪০ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
বুধবার পতনের একদিন পর বৃহস্পতিবার ডিএসইতে সূচক বাড়ল। তবে সিএসইতে যথারীতি বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুদিন পতন হলো।
ব্যাংক–বিমাসহ অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমার দিনে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ২১ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার ৩০২টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলো মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৮৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তবে বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৭৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ৪ দশমিক ১৮ পয়েন্ট এবং ডিএস–৩০ সূচক বেড়েছে ৮ দশমিক ৪০ পয়েন্ট। সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত নেই।