গত এক সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন ১ হাজার ১৪১ কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
বিমা খাতের লেনদেনের ওপর ভর করেই মূলত গত সপ্তাহে বাজারের সার্বিক লেনদেন বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনের বড় অংশই ছিল এই খাতের।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে আবারও ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫৭৩ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে আটকে ছিল। সপ্তাহ শেষে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৬টি। লেনদেন হওয়া অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৩টির।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বিমা খাতের কোম্পানি ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সাড়ে ৩৩ শতাংশ বা ২৭ টাকা বেড়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিমা খাতের এ কোম্পানির শেয়ারের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ আগস্ট কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৫৭ টাকা, যা গত সপ্তাহ শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ১৩২ টাকা ৫০ পয়সা। কারসাজিকারকদের একটি চক্র নানা গুজব ছড়িয়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে।
মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে গত সপ্তাহ শেষে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইমাম বাটন। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম এক সপ্তাহে ২৭ টাকা বা প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৪২ টাকা। সম্প্রতি কোম্পানিটির মালিকানায় পরিবর্তন এসেছে। গত বছরের শুরুতেও কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২৪ থেকে ২৫ টাকা।
বন্ধ এই কোম্পানির মালিকানা নিতে শেয়ারবাজারের কারসাজিকারকদের একটি গোষ্ঠী এটির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটায়। বাজারে শেয়ারের দাম বাড়ানোর পর গত ফেব্রুয়ারিতে এসে কোম্পানিটির পরিচালনায় পরিবর্তন আসে। ইদানীং আরেক দফা কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ে। এভাবে এসব কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়া ভালো লক্ষণ নয়।