পুঁজিবাজারে কারসাজির শাস্তি কেনো জেল হয় না? সেকেন্ডারি বাজারে অনেক সময় খালি চোখেই কারসাজির ঘটনা দেখা যায়। এসব কারসাজিতে কোম্পানির লোকজনও জড়িত থাকে। কিন্তু কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কোনো নজির নেই। বরং কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির নামে যেন পুরস্কৃত করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা! কারণ, কারসাজির মাধ্যমে একজন কারসাজিকারী যে মুনাফা করেন, তার ১০ ভাগের ১ ভাগ জরিমানা করা হয় তাকে। একজন কারসাজিকারী যখন ১০০ টাকা মুনাফা করে ১০ টাকা জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যান, তখন তিনি আবার কারসাজি করতে উৎসাহী হবেন। আমাদের বাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো কারসাজির বড় হাতিয়ার। কারণ, সেগুলোর লেনদেনযোগ্য শেয়ারসংখ্যা খুবই কম। অল্প কিছু শেয়ার কিনেই এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারের ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানো যায়। এরপরও জেনেবুঝে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমন সব কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্ত থাকার অনুমোদন দিচ্ছে। এদিকে করপোরেট বোর্ডে পরিবারের নিয়ন্ত্রণও খর্ব করা প্রয়োজন। অডিট কার্যক্রম তদারকীতেও আরো আন্তরিক হওয়া দরকার। বাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা এমন দাবি দীর্ঘদিনে ধরে করে এলেও কার্যকর হচ্ছে না। এখন এই প্রশ্নই জরুরি- কারসাজিকারীদের কেন কারাদÐ হবে হবে না, এটি হতে বাধা কোথায়? এ বিষয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করি।