Stock Market Journal

কারসাজির কারণে পুঁজিবাজার সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে

২০২০ সালে থেকে বন্ধ রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রংপুরের শ্যামপুর সুগার মিলসও একটি। তিন বছর ধরে কোম্পানিটি উৎপাদনে নেই; বরং বিপুল লোকসানে জর্জরিত। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশও দিতে পারছে না অনেক বছর ধরে। অথচ গত ছয় মাসে বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ।

একই অবস্থা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়েরও। এই কোম্পানিরও কার্যক্রম নেই বললেই চলে। অনিয়মের কারণে সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে কোম্পানিটি ও তার মালিক আমজাদ হোসেনের ব্যাংক হিসাব এখনো জব্দ। অথচ গত ছয় মাসে এটিরও শেয়ারের দাম ১২৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

এ ছাড়া গত সাত মাসে বন্ধ আরেক কোম্পানি খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ৬০০ শতাংশ।

এভাবে শেয়ারবাজারে বন্ধ কোম্পানির শেয়ারের দাম রকেট গতিতে বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনেও এসব কোম্পানির দাপট চলছে মাসের পর মাস ধরে। অথচ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সবাই নিশ্চুপ। সরব শুধু এসব শেয়ারের কারসাজিকারীরা, যারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জের নীরবতার সুযোগে বাজারে কিছু বাজে ও নিম্ন মানের কোম্পানির শেয়ারের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। এর ফলে একদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে, অন্যদিকে পুঁজিবাজার সম্পর্কে সব মহলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।