একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার প্রাথমিক ও অন্যতম শর্ত- বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সাধন করা। প্রথম দুটি বিষয়ে আমাদের মধ্যে দুই ধরনের মত পাওয়া যাবে। কেউ বলবেন বেশ উন্নত হয়েছে, আবার কেউ বলবেন আশানুরূপ নয়। এই তর্ক চলার মধ্য দিয়েই আমরা এগোচ্ছি। অগ্রসরতার সূচক নিয়েও আমাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। থাকাটাও অস্বাভাবিক নয়। গণতান্ত্রিক দেশে মতভিন্নতার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখা উচিত। তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে পুঁজিবাজার। এটি সরাসরি দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে এবং প্রতিনিধিত্ব করে। সুতরাং পুঁজিবাজারের সূচক পুরো অর্থনীতির সূচক না হলেও এটি অর্থনীতির সূচকে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এ কারণেই উন্নতবিশ্বে পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির হৃদপিণ্ড মনে করা হয়।
আমাদের দেশের উন্নতির কথা বললে, প্রথম দিকেই আসবে শিল্পায়নের বিষয়টি। উন্নতবিশ্বের তুলনায় শিল্পায়নে আমরা অনেক পিছিয়ে। এই শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক পুঁজিবাজার। কিন্তু দেখা গেছে আমরা প্রত্যাশিত মাত্রায় পুঁজিবাজারকে কাজে লাগাতে পারছি না। বরং পুঁজিবাজার অনেক সময়ই নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রয়োজনীর গুরুত্ব পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা যদি উন্নতবিশ্বের দিকে তাকাই, দেখতে পাবো তারা পুঁজিবাজারকে সুশৃঙ্খলভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতির বিকাশ ঘটিয়েছে। কিন্তু আমরা সেভাবে পারিনি। তাই বলতে চাই, প্রকৃত উন্নয়ন আমরা কাকে বলবো? এখনও যদি আমাদের মধ্যে পুঁজিবাজারের গুরুত্ব সম্পর্কে সঠিক ধারণা গড়ে না ওঠে তাহলে সব ধরনের উন্নয়নই বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ কারণে নীতিনির্ধারকদের এখনই বিষয়টি আন্তরিকভাবে ভাবা প্রয়োজন।