একের পর এক বড় বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। সূচক নাই হয়ে যাচ্ছে শত শত পয়েন্ট। কোনো কোনো দিন প্রায় সবগুলো কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হচ্ছে। গতকাল সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে প্রায় ২৮০ পয়েন্ট। এর আগের দিনও শত পয়েন্টের কাছাকাছি সূচক পড়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, কী হচ্ছে পুঁজিবাজারে? কী কারণে এমন দরপতন? অনেক মহল থেকে বলা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের খবরে বাজারের এ অবস্থা। কিন্তু এ বক্তব্য কতটা সমর্থনযোগ্য? করোনাভাইরাস তো সেদিনের কথা। আমাদের পুঁজিবাজারে বিপর্যয়তো বছর বছর ধরে চলছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারের সঙ্গে আমাদের কী সংযোগ রয়েছে? হুট করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন কী দুঃসংবাদ এসেছে? দুদিন আগেও অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই ভালো। সুতরাং এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে প্রশ্ন ওঠে, পুঁজিবাজারে যা চলছে এটি কি করোনাভাইরাসের প্রভাব নাকি হরিলুটের আয়োজন?
এর আগেও আমরা দেখেছি, দেশের পুঁজিবাজারে নানা ধরনের সুযোগ সন্ধানী চক্র রয়েছে। বড় ধরনের কিছু একটা ঘটনা ঘটলে এই চক্র অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে বাজার থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। সুতরাং এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকা খুবই প্রয়োজন। কারণ কেউ যেনো ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ না পায় সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তা না হলে কোনো কোনো চক্র রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পথে বসার আশঙ্কা থেকে যায়। যা সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারেরই ক্ষতি।