এম এইচ রনি:
হদিস পাওয়া যাচ্ছে না কিংবা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের এমনসব কোম্পানিকে বাদ দিয়ে এই বাজারকে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ জন্য ডেভেলপমেন্ট ওটিসি মার্কেট অব বাংলাদেশ নামে একটি কমিটি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর পার হয়ে গেলেও মিলেনি তার সুফল।
ওটিসিকে পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালের ডেভেলপমেন্ট ওটিসি মার্কেট অব বাংলাদেশ’ নামে একটি কমিটি করা হয়। কমিটিকে পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে বিদ্যমান নিয়ম-কানুনের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিবর্তনসহ পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। ওটিসি বাজারকে কার্যকর করতে বিদ্যমান আইনের সংশোধনের জন্যেই এই কমিটি করা হয়েছিলো। তিন সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমান। অপর দুই সদস্য হলেন উপপরিচালক শেখ মো. লুৎফর কবীর ও মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
পরবর্তীতে ‘ডেভেলপিং ওটিসি মার্কেট অব ডিএসই’ সংক্রান্ত কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে বিএসইসি। কিন্তু প্রতিবেদন গ্রহণই শেষ। তার পর দুই বছর পার হয়ে গেলেও এ মার্কেটে আসেনি কোনো সুফল।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক কর্মকতা বলেন, ওটিসি নিয়ে বর্তমানে আমাদের নতুন কোনো পরিকল্পনা নেই। গত কয়েক বছরে ওটিসি মার্কেটকে ঢেলে সাজাতে কয়েকবার বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু আশানুরূপ ফল না হওয়ায় এ মার্কেট নিয়ে নতুন করে কোন উদ্যোগ নিচ্ছি না।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, এ মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা আটকে আছে। অথচ এ মার্কেট নিয়ে নিয়ন্ত্রকদের কোনো রকম ভালো পদক্ষেপ নেই। বিশ্বের অন্য কোন দেশের শেয়ার বাজারে এ রকম অনিয়ম নেই। যা আমাদের দেশে রয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার গাফিলতির কারণেই এমনটা হচ্ছে।