Stock Market Journal

একের পর এক ধসে বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার

বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে দেশের পুঁজিবাজারে। একের পর ধসে নি:স্ব হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

বেশ কয়েকটি কারণে বাজারের এ মন্দাবস্থা। চলতি মাসের জানুয়ারিতে ‘ফ্লোরপ্রাইস’ প্রত্যাহারের পর বাজারে সূচক ও লেনদেন দুই-ই বাড়তে থাকে। কিন্তু এ সময়ে ভালো কোম্পানির চেয়ে মন্দ কোম্পানির শেয়ারদরই বেশি বেড়েছে। এমনকি কারসাজি করে বন্ধ কোম্পানির শেয়ারদরও বাড়ানো হয়েছে। এখন এসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হচ্ছে। এছাড়া বাজারে তারল্যসংকট রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা গুজব। বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে একটি চক্র বাজারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এসব কারণে অনেক বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করছেন।

শেয়ার বাজারে ২০১০-এ বড় ধসের পর এখন ২০২৪ সাল। দীর্ঘ এ সময়ে বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে উল্লেখযোগ্য কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? গত এক যুগে কয়টা ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। ভালো কোম্পানি বাজারে না থাকলে বাজার টিকে থাকবে কীভাবে?

ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের পর তারা নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলেন কিন্তু বাজারের এ অবস্থায় তারা আবার লোকসানে পড়েছেন।

দেশে ভালো কোম্পানির ১০ শতাংশও বাজারে তালিকাভুক্ত নেই। আবার তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির আয় ভালো কিন্তু শেয়ারহোল্ডারদের সেভাবে লভ্যাংশ দিচ্ছে না। তিনি বলেন, আইপিওতে আসার সময় একটি কোম্পানি যে আয় দেখায়, বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তার সেই আয় কমে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা হতাশ।

গত কিছু দিনে অনেক মন্দ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এমনকি বন্ধ কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে। এসব কোম্পানির শেয়ারদর এখন কমছে। ফলে বাজারে এ দরপতন। এছাড়া তারল্যসংকট রয়েছে বাজারে।