বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। আমাদের দেশেও মূল্যস্ফীতিসহ নানা ধরনের মন্দা দেখে দিয়েছে। মানুষের আয়রোজগার না বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে। অনেক মানুষ চাকরিচ্যুত হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরাও নানামুখী সংকটে সময় পার করছেন। বিশেষ করে পুঁজিবাজারের মন্দা অন্য সময়ের তুলনায় বেশ দীর্ঘায়িত। এই সময়ও কারসাজি চক্র থেমে নেই। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে সবকিছুই ব্যর্থ হয়েছে এমনটা নয়। বর্তমান কমিশনের আমলে কিছু ভালো পদক্ষেপ নিতেও দেখা গেছে। তারপরও বলতে চাই, এখানেই শেষ নয়। বিশেষ করে কারসাজির বিরুদ্ধে বিএসইসিকে অটল থাকতে হবে।
এই দুঃসময়ে বিনিয়োগকারীরা প্রতারণার শিকার হলে, সেটি হবে অমানবিক। এই কারণে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে একটা দায়বোধ থাকা জরুরি। আজকে আমদানি-রপ্তানি কিংবা ডলার সংকট, সবখানেই সাধারণ মানুষ অগ্রগণ্য। সেই সাধারণের একটা অংশই পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী। তাই তাদের তারা কোনো ধরনের বঞ্চনার শিকার হলে, সেটি দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ হবে। তাই বিএসইসির প্রতি আমাদের আহ্বান, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষিত করুন অন্তত দেশের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে।