জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে পুঁজিবাজারের সূচক উধাও হয়েছিল ১৬৩ পয়েন্ট। পাশাপাশি লেনদেনও নেমে গিয়েছিল অর্ধেকে।
সেই সপ্তাহে (৭-১১ আগস্ট) বিএসইসির দেয়া ফ্লোর প্রাইস ও পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট ক্রয়মূল্যে গণনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার আসার পরও এই পতনে হতাশ হয়েছিল বিনিয়োগকারীরা।
তবে বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনে গতি ফিরেছে। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস গত রোববার ২৬ পয়েন্ট উত্থানের পর জাতীয় শোক দিবসের ছুটি কাটিয়ে দ্বিতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার সূচক বেড়েছে আরও ৫০ পয়েন্ট। শেষ কর্মদিবস বুধবারও এই উত্থানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। সেদিন সূচক বেড়েছে ২৪ পয়েন্ট। লেনদেনও ছেড়েছে সাড়ে এগারশ’কোটি টাকা।
আগের সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার। দ্বিতীয় কার্যদিবসে তা বেড়ে হয় ১ হাজার ৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮ হাজার টাকায়। আর বুধবার তা আরও বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকায়।
আগের সপ্তাহের তিন কর্মদিবসেই সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২১ আগস্ট) সূচকে আরও যোগ হয় ১৮ পয়েন্ট। আজ সূচক আরও লম্বা লাফ দিয়েছে। আজ সূচকে যোগ হয়েছে আরও ৪০ পয়েন্ট।
এবার উত্থানপর্ব কতটা স্থায়ী হয় সেটিই দেখার বিষয়। দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে অতীতের যে বিশাল দূরত্ব ছিল, তা ইতোমধ্যে কিছুটা দুরীভূত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গর্ভণর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভাব্য সবকিছু করবে। তার এই ঘোষণাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এতে পুঁজিবাজারের সংকট কিছুটা হলেও দূর হবে বলে আশা করি।