দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী হয়তো ভুলেই গেছেন, কবে তারা সর্বশেষ হেসেছিলেন। গত প্রায় এক দশক ধরে পুঁজিবাজারে কখনো দ্রুত কখনো থেমে থেমে ধস নেমেছে বাজারে। এতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর তলানিতে। টানা লোকসানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটা বড় অংশা বাজার থেকে ছিটকে পড়েছেন। তারা পুঁজি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। অনেক আহাজারি করেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। প্রতিকার পাননি। চোখের জল ফেলে অনেকে বাজার থেকে সরে পড়েছেন। তাদের অবস্থা কী, এখন হয়তো আমরা জানিও না। বিশেষ করে ঈদের মতো উৎসবের আগে অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার থেকে মুনাফা তুলে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতেন। তাই এসময় পুঁজিবাজারে লেনদেনে বেশ চাঙ্গাভাব দেখা যেতো। এই দৃশ্য এখন কেবলই স্মৃতি। বহু বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের অনেকে হয়তো ঈদের আনন্দ থেকেও বঞ্চিত। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে হয়। তাই ঈদেও হাসি নেই তাদের।
পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আহাজারি থামাতে সরকার বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজারের নানা ধরনের প্রণোদনা ও সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করেছে। কথা হচ্ছে এর কতটটা সুবিধা পেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা? সরকারের দেয়া সুযোগগুলোও এক শ্রেণির সুযোগ সন্ধানীরাই নানা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। তাই হাসি ফুটেনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মুখে। এখন অন্তত সেই বিনিয়োগকারীদের কথা একটু ভাবা উচিত, দেশের পুঁজিবাজারের স্বার্থে।