নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। এরই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের পদ থেকেও গতকাল, সোমবার পদত্যাগ করেন তিনি।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এখানকার লুটপাট হওয়া অর্থ ফেরত আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রতিষ্ঠানটির বিতরণকৃত ঋণের অর্ধেকই ফেরত আসার সম্ভাবনা নেই। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে এসব ঋণ ফেরত আসার কোনো সম্ভাবনাও নেই। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে থাকা এই প্রতিষ্ঠানটি টেনে তোলাও সম্ভব নয়। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, পদত্যাগের কপি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ, বাংলাদেশ ব্যাংক, উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। প্রতিদিনই গ্রাহকরা টাকা ফেরত নিতে আসছেন আমার কাছে। এসব কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
হাইকোর্টের নির্দেশেই তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, পিকে হালদারসহ কতিপয় ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠান থেকে এক হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি খতিয়ে দেখার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই টাকা উদ্ধারে রিকভারি এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার কথা জানান আদালতকে। সেখানে তিনি বলেন, রিকভারি এজেন্ট দিয়ে টাকা উদ্ধারে আমার অভিজ্ঞতা আছে।
এসএমজে/২৪/বা