Stock Market Journal

আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে আসছে ১৫ আইন: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আগামী এক বছরের মধ্যে ১৫টি আইন প্রণয়ন করা হবে।

গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেট পাসের সময় বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে ১৫টি আইন দেখতে পারবেন এগুলো বন্ধ করার জন্য। আমি নিজে জানি কিভাবে এগুলো হয়, কারা করে জানি না। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, ইনএফেকটিভ ম্যানেজমেন্টের জন্য এগুলো হয়। আমরা সংস্কারমুখী কাজ করব।’

মুস্তফা কামাল নতুন নতুন আইন করা হবে উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেব। কোনো টলারেন্স নেই এখানে। টাকা এখন দেশে আসে।’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। বিরোধী সংসদ সদস্যরা বিদেশে টাকা পাচার, পুঁজিবাজারের অব্যবস্থাপনাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সমালোচনা করেন।

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে পুঁজিবাজার বসে যায়’ এমন অভিযোগের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পুঁজিবাজারের লেনদেন ৩০ গুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার কেমন করে বসে গেল? পুঁজিবাজারে হয়তো লেনদেন নেই। পুঁজিবাজার সম্পর্কে তথ্য রাখেন না, হয়তো সেজন্য বলছেন। যদি ডাটা দেখি, যখন ক্ষমতায় আসি তখন পুঁজিবাজারে লেনদেন এক লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ছিল। তা এখন পাঁচ গুণ বেড়েছে।

তিনি বলেন, গড় লেনদেন ছিল দৈনিক ২৮ কোটি টাকা যা এখন ৩০ গুণ বেড়েছে। তাহলে পুঁজিবাজার ধসে গেল কেমন করে?’

বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের টাকা-বিরোধীদলের সংসদ সদস্যদের এমন অভিযোগের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘নামগুলো আমাদের দেন। কাজটি করলে আমাদের জন্য সহজ হবে। এখনো অনেকেই জেলে আছে। বিচার হচ্ছে। আগে যেমন ঢালাওভাবে চলে যেত, এখন তেমন নেই। কারা টাকা নিয়ে যায়, লিস্ট আমার কাছে নেই।’

এসএমজে/২৪/রা