Stock Market Journal

আরো দুই ব্যাংকের বিশেষ তহবিল গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত বিশেষ তহবিল গঠনকারী ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ছে। এবার এ তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এ নিয়ে তহবিল গঠনকারী ব্যাংকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিজস্ব অর্থায়নে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে ইউসিবি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকদুটির তহবিলের বিষয়টি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়েছে। এর আগে তহবিল গঠনকারী ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক (এনবিএল)।

ওই ব্যাংকগুলোর মধ্যে সিটি ব্যাংক আগেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য রেপো সুবিধার আওতায় ৫০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছিল। সম্প্রতি ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ওই সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানালে বাংলাদেশ ব্যাংক তা অনুমোদন করে।

সোনালী ব্যাংক ২০০ কোটি এবং রূপালী ব্যাংক ৮০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা ব্যাংকও ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনো এ প্রস্তাব ব্যাংকটি পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদিত হয়নি। অন্যদিকে এনবিএল নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিকভাবে ৪০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারের তীব্র মন্দার প্রেক্ষিতে বাজার উন্নয়নে গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বাজারের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য ৬টি নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল- পুঁজিবাজারের তারল্য বাড়াতে বিশেষ তহবিল গঠন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে গত ১১ ফে্ব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ তহবিল গঠন বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে এই তহবিল গঠন করা যাবে। চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তারল্য সুবিধা নেওয়া যাবে। পুনঅর্থায়নযোগ্য এই তহবিলের মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এর সুদের হার ৫ শতাংশ। তহবিলের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, তা ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসাব (Exposure to Capital Market) এর বাইরে থাকবে। বিশেষ তহবিল সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংক চাইলে সরাসরি নিজে বিনিয়োগ করতে পারবে, আবার ওই তহবিল থেকে ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ঋণ দেওয়া যাবে।

এসএমজে/২৪/বা