Stock Market Journal

আইপিও রিভিউ টিম: কার্যকর কিছু হবে কি?

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরামর্শে স্বচ্ছ ও ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে আইপিও রিভিউ টিম গঠন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গত সোমবার ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের সভায় ৬ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে রাখা হয়েছে ডিএসইর পরিচালকদের। উদেশ্যের দিক থেকে বিবেচনা করলে এটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এটি কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে যে প্রশ্নটি জাগে সেটি হচ্ছে, এই টিম আসলে কতটা কার্যকর হবে? এর মধ্যে যারা রয়েছেন তারা সবাই ডিএসইর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তারা কতটা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, এটি ভাবার বিষয়। অতীতে দেখা গেছে এ ধরনের টিম বা কমিটি কাজ করতে গিয়ে বাজার সংশ্লিষ্ট ও বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সেই দিক বিবেচনায় বিকল্প লোক দিয়ে টিম গঠন করা যেত কিনা?

বলা হচ্ছে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করা কোম্পানির প্রসপেক্টাস পর্যালোচনা করার জন্য এই কমিটি কাজ করবে। এজন্য বিভিন্ন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্মের প্রতিনিধি ও আর্থিক বিশ্লেষকেদের মধ্য থেকে ১০-১৫ জনের সমন্বয়ে একটি এক্সপার্ট প্যানেল গঠন করা হবে। এই প্যানেলের মধ্য থেকে প্রত্যেকটি আইপিও’র প্রসপেক্টাস পর্যালোচনা করার জন্য রিভিউ কমিটির সঙ্গে ২-৩ জনকে যুক্ত করা হবে। আইপিও প্রসপেক্টাস পর্যালোচনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই কমিটি আগামী দুই এক কার্যদিবসের মধ্যে টার্মস অব রেফারেন্স ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য ডিএসই’র পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করবে।

বলা প্রয়োজন, সরাসরি যারা পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্ত তাদের বাইরেও অনেক যোগ্য লোক রয়েছেন যারা এ সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তাদেরকে যদি দায়িত্ব দেয়া যেতো তাহলে বিষয়টি আরো ভালো হতো বলে মনে হয়। এতে মানুষের আস্থার জায়গাটি আরো পোক্ত হতো। কারণ বর্তমানে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে। এই নিয়ে তারা আন্দোলনও করে যাচ্ছেন। ফলে এই টিম গঠন কতটা কার্যকর হবে এই নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।