পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর দেখা যায় অনেক কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। তাহলে কোম্পানিটি যখন আইপিওর কাগজপত্র জমা দিয়েছে তখন নিশ্চয়ই কোনো গলদ ছিল। এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে থাকলে তার দায় কে নেবে? বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর অধিকার কারো নেই। তারপরও বিনিয়োগকারীরা বছরের বছর ঠকছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর যেন কেউ নেই!
আর্থিক প্রতিবেদনের অস্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ফিসফাস হয়। এর বেশি কিছু তো হয় না। যে কারণে অনিয়ম করা কোম্পানিগুলো পার পেয়ে যায়। অবশ্যই সব কিছু নিয়ম মেনে হলে কোম্পানিগুলো প্রতারণা করতে পারে না। এই জন্য আইপিও প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার বিষয়টি গরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।
অনেকের বোর্ডে সমস্যা রয়েছে, ঠিকমতো আর্থিক তথ্য প্রকাশ করে না। অন্যান্য কাজ ঠিকমতো করে না। আবার সেগুলো নিয়ে জালিয়াতি করে। এগুলো সাধারণ নিয়মিত কাজ। কিন্তু অনেকে সেসব কাজ করেন না।
বিভিন্ন বিধিবিধান সম্পর্কে অধ্যয়ন না করার কারণে অনেকে বিষয়গুলো সঠিকভাবে পরিপালন করতে পারছেন না। কিন্তু যারা কোম্পানির সচিব এবং সিএফও রয়েছেন, তাদের উচিত বিধিবিধানগুলো সঠিকভাবে পড়া এবং সেগুলো যথাযথ পালন করা। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মূলত আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা প্রয়োজন। আর এজন্য দুটি পক্ষের দায়িত্ব পালন করতে হবে। একটি হলো ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও আরেকটি হলো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।