একটি দেশের পুঁজিবাজার কতটা গভীর, সেটি নির্ভর করে সেখানে কী ধরনের কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। আর এ বিষয়টি নির্ভর করে আপিও প্রক্রিয়ার ওপর। কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে ভালো আইপিও পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করে। এতে বাজারের সক্ষমতাও বাড়ে। নতুন নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তির বিষয়টি আসলে একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তারপরও একটি নতুন আইপিও যখন বাজারে আসে তখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তারা এটি সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
যে বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হচ্ছে- যে আইপিওটির্ অনুমোদন হলো এর গুণগত মান কতটা ভালো? এর মধ্যে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা কতটা সুফল পাবেন? যে প্রক্রিয়ায় আইপিওটি বাছাই করা হয়েছে সেটি কতটা স্বচ্ছ? কারণ অতীতে দেখা গেছে এমন সব আইপিও অনুমোদন পেয়েছে যেগুলো বাজারে আসার পর খুব খারাপ অবস্থা দেখা গেছে। এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
আইপিও অনুমোদন করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই প্রতিষ্ঠানটি কোম্পানির পুঁজিবাজারে আসা নিশ্চিত করে। যেসব কাগজপত্রের ভিত্তিতে কোম্পানির আইপিও অনুমোদন হয়, সেসব কাগজপত্রের স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করা নিয়ন্ত্রক সংস্থারই কাজ। অতীতে দেখা গেছে অনেক সময় কাজটি সঠিকভাবে হয়নি। এ কারণে পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।