নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতি উঠে যাচ্ছে ২০২১ সালে। এখন থেকে আইপিওতে যিনিই আবেদন করবেন, তিনিই শেয়ার পাবেন। তবে আইপিও আবেদনের আগে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর বাজারমূল্যে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে তথা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে। অর্থাৎ আইপিও আবেদন করার আগে একজন বিনিয়োগকারীর সেকেন্ডারি বাজারে ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বৃহস্পতিবার তথা ২০২০ সালের শেষ দিনে এ সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন বছরের ১ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানিয়েছে, আইপিওতে বিদ্যমান লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ সময় আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক পরিমাণ অর্থ জমা দিতে হবে।
যেমন, একজন বিনিয়োগকারী কোনো একটি কোম্পানির আইপিও শেয়ারের জন্য আবেদন করবেন। প্রথমত, ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে অর্থাৎ সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, আইপিও আবেদনের জন্য একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক ২০, ৩০, ৪০ হাজার টাকা করে চাঁদা জমা দিতে হবে। যেহেতু লটারি পদ্ধতি উঠে যাচ্ছে সেহেতু সব আবেদনকারী তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে শেয়ার বরাদ্দ পাবেন।
ধরা যাক, কোনো কোম্পানির আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ কোটি শেয়ার বরাদ্দ রয়েছে। সেখানে ১০ লাখ বিনিয়োগকারীর সবাই ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে আবেদন করেছেন। তাহলে প্রত্যেক আবেদনকারীকে ওই কোম্পানির ১০টি করে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এ ছাড়া আজকের সভায় বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ার সময় কমিয়ে আনতে বিডিং ও প্রসপেক্টাস প্রকাশের আলাদা আলাদা সম্মতিপত্রের পরিবর্তে একসঙ্গে সম্মতিপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।