Stock Market Journal

আইপিওর টাকায় জালিয়াতি: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই কাম্য

পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা ব্যাংকে স্থায়ী আমানত বা এফডিআর করে সেই এফডিআরের বিপরীতে গ্রুপের অন্য কোম্পানির নামে ঋণ নিয়ে অপব্যবহার করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমান কটন ফাইবার্স। এ জন্য কোম্পানিটির পরিচালকদের প্রত্যেককে তিন কোটি টাকা করে জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির বরাত দিয়ে গণমাধ্য এ খবর প্রকাশ করে। আমর বলতে চাই এটি গুরুতর অনিয়ম। এর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই কাম্য।

আইপিওর টাকা থেকে ৭৩ কোটি টাকা কোম্পানিটি ব্যাংকে এফডিআর করে। পরে সেই এফডিআর লিয়েন বা বন্ধক রেখে গ্রুপের অন্য কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েছে কোম্পানিটি। কোম্পানিটি ২০১৮ সালে যন্ত্রপাতি কেনা ও ব্যাংকঋণ পরিশোধের জন্য বাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৮০ কোটি টাকা তুলেছিল। আইপিওর টাকা থেকে ৭৩ কোটি টাকা কোম্পানিটি ব্যাংকে এফডিআর করে। পরে সেই এফডিআর লিয়েন বা বন্ধক রেখে গ্রুপের অন্য কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েছে কোম্পানিটি। এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে আইপিওর টাকার অপব্যবহার করেছে কোম্পানিটি।

এ ছাড়া কোম্পানিটি নিয়ম ভেঙে সহযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ সরিয়েছে। যথাযথ কাগজপত্র ছাড়াই এসব লেনদেন করা হয়। তাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে। অথচ তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফার সুফল গেছে গ্রুপের অন্য কোম্পানিতে। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরও বড় ধরনের শাস্তির বিধান করা উচিত। প্রয়োজনের অর্থদণ্ড ছাড়া কারাদণ্ডও হতে পারে অনিয়মকারীদের শাস্তি।