আইপিও থেকে যতটা টাকা উত্তোলন করা হয় তার যথাযথ ব্যবহার হয় কি না সে বিষয়ে বিরাট প্রশ্ন রয়েছে। কারণ ওই অর্থ যথাযথ ব্যবহার না করে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় বেশি। যথাযথ ব্যবহার হলে কর্মসংস্থান বাড়তো এবং ভোক্তা তৈরি হতো।
দেশের পুঁজিবাজারের এই বাস্তবতা এখনও রয়েছে। এটি সমাধান করতে না পারলে সামনে অগ্রসর হওয়া যাবে না। এছাড়া দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে হারে রেজিস্টার্ড কোম্পানি হয়েছে সে হারে পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলো লিস্টেড হয়নি। এখন পুঁজিবাজারে মাত্র ৩৬৫টি কোম্পানি তালিকভুক্ত। তবে দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনেক। ফলে, নন-লিস্টেড কোম্পানিগুলোই দেশের অর্থনীতিতে বেশি প্রভাব রাখছে।
বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া খুবই দরকার। যদি পুঁজিবাজার স্বচ্ছতা এবং স্থিতিশীলতা আনতে হয়, তাহলে এই ভাবনা থেকে কাজ করতে হবে। কোম্পানিগুলোর দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। পুঁজি উত্তোলনের পর কোথায় কীভাবে ব্যয় হচ্ছে সেটি দেখভাল করার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফরবে পুঁজিবাজারের প্রতি। অনেক সময়ই দেখা যায়, কোম্পানির প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে বিনিয়োগকারীরা অন্ধকারে থাকেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।