পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী পাইপলাইনে থাকা কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের কেক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিবেদনে গলদসহ অন্যান্য অনিয়ম ঠেকাতে এক্সেপার্ট প্যানেল গঠনের কথা বলছে বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কোম্পানিগুলোর প্রসপেক্টাস ভালোভাবে দেখ-ভালের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নতুন করে এক্সপার্ট প্যানেল গঠনের এ পরামর্শ দিয়েছে বিএসইসি।
এক্সপার্টের প্যানেলের প্রতিবদেন দেখে সস্তুষ্ট হলেই নতুন করে আইপিওর অনুমোদন দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।
গত ২৪ অক্টোবর ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও ডিএসই ব্রোকারের্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এসব কথা বলেন বলে সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়। বিষয়টিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কারণ কোম্পানিগুলো আইপিওতে আসার ক্ষেত্রে যদি অনিয়ম করে তার ক্ষতির শিকার হন বিনিয়োগকারীরা।
এখানে প্রথমেই বলা যায়, বিষয়টি বুঝতে সংশ্লিষ্টদের এতো সময় লাগলো কেনো? তারপর কথা হচ্ছে, আইপিওতে অনিয়ম করে আগে যে কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে এসেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে? সেখানেতো বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের সেই ক্ষতি পোষাবে কী করে?
আমরা জানি, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে কাউকে দাফন করা হলে, পরে যদি জনা যায় ওই ব্যক্তি খুন হয়েছিলেন, তাহলে সেই খুনের বিচার হয়। সে ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো আগে অনিয়ম করলে পরে বিচার হওয়াতে বাধা কোথায়? বরং এতে দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে। অপরাধীরা ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে। এ বিষয়টিও সংশ্লিষ্টরা বিবেচনায় নিলে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে বলে আমাদের ধারণা। পাশাপাশি বলা প্রয়োজন, যে এক্সপার্ট প্যানেলের কথা বলা হয়েছে সেখানে কারা থাকবেন। তারা কতটা সতত ও যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করবেন সেই প্রশ্নও থেকে যায়। সেখানে যদি যারা ইতিমধ্যে সফল যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারেননি এমন লোকদের বসানো হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার কারণ নেই। দরকার হচ্ছে সততা যোগ্যতা নিয়ে কাজ করবেন, এমন লোকের। তা হলেই প্রত্যাশা পূরণ হওয়া সম্ভব বলে মনে হয়।